Monday, 31 October 2016

Muhammad Salim Raza- Poem

Muhammad Salim Raza
1993

Poet Details:

-------------------------- কবিতা-৩০----------------------------
মা
মুহাম্মদ সেলিম রেজা মা

 
তুমিই তো আমার ত্রিভূনের আলোক দিশারী
মা
তুমিই আমার রক্তপিপাষুদের রক্তিম মশারী
মা
তুমি আমার হৃদয়ের ত্রিপটের ধুকধুক করা ধমনী
মা
তুমিই আমার অরাজমান ভুবনের শ্রেষ্ঠ জননী।
মা
তোমাকে ছাড়া ভাবতে পারি না দুনিয়া দিক্ষিতপুর
মা
তুমি ছাড়া দুল্যক ছাড়ি চলে যাবো দূর বহুদূর।
মাগো
তোমার হাস্যোজ্জল সম্মুখ দেখে হৃদয়ের সুখ দোলে
মাগো
তোমাকেই মিষ্টি দু’লিপ বারবার মাগো মাগো বলে। 


-------------------------- কবিতা-২৯----------------------------
একুশ তুমি কোথায়
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

একুশ তুমি কোথায় আছো
বাংলাদেশ না ইন্ডিয়ায়
একুশ তুমি বন্দি এখন
ইংলিশ হিন্দির পিঞ্জিরায়।


একুশ তুমি কোথায় আছো
বাংলাদেশের কোন জেলায়
একুশ তুমি যাচ্ছো কোথায়
বাঙ্গালিদের অবহেলায়।

একুশ তুমি কোথায় আছো
কলেজ নাকি মাদরাসায়
একুশ তোমায় পাই না খুঁজে
স্কুলেরই পাঠশালায়।


-------------------------- কবিতা-২৮----------------------------
হায় কবিতা
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

হায় কবিতা,
হাত উচিয়ে, দুলিয়ে দুলিয়ে বলনা হায়!

হায় কবিতা,
তুমি কি অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাবতি
কোন যৌবনা ললিতা?

হায় কবিতা,
বলতেই বুকের ভেতর থেকে বলো উঠো
হায়!

কে তুমি?
তুমি কি আমার ভেতরে থাকা কেউ?
কেন তুমি আমার ডাকে সাড়া দাও?
কেনইবা গুণগুণিয়ে গান করো, খেলা করো?

হায় কবিতা।
আজ বড় আফসো হচ্ছে!
তোমাকে বিকৃত করা হচ্ছে,
তোমাকে পঙ্গু করা হচ্ছে,
তোমাকে করা হচ্ছে বিকলঙ্গ?

কবিতা,
তুমি জেগে উঠো সকল অবিকৃত,
অবিবেচিত, অমার্জিত আর নিকৃষ্ট
বচনের বিরুদ্ধে।
তুমি খর্ব করে দাও বিভর্স ভাষার,
বিতাড়িত করো অমার্জিত কথনি।

হায় কবিতা
তুমি প্রেম হয়ে উঠো,
তুমি রঙ্গিয়ে দাও মানুষের অন্তর
তুমি ভালোবাসো মানবাত্মাকে,
ভালোবাসাতে শেখাও অমানুষকে।

১৮-০২-২০১৭

-------------------------- কবিতা-২৭----------------------------
আমি একুশ
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

আমি একুশ আসি বারবার ফিরে
প্রতি মাসের অপরাহ্নে
আমি একুশ বলি, তাজারক্তে
রাস্তা হ্রদ বায়ান্নে।

আমি একুশ, স্মরণ করিয়ে দেয়
রফিক সালামের কথা
আমি একুশ, বুক চিরিয়ে দেখায়
হৃদয়ে যত ব্যথা।

আমি একুশ, দেখি বাংলার বুলি
তিলে তিলে ক্ষয় নরকে
আমি একুশ, থাকি বইমেলারই
বুকের পরতে পরতে।
আমি একুশ, দেখি আব্বারে কয়
ড্যাডি কিংবা ড্যাড
আমি একুশ দেখি মেসেঞ্জারে
ইংলিশে করে চ্যাট।

আমি একুশ, দেখি বাংলিশে
ভরে গেছে এদেশ
আমি একুশ, দেখি স্যার মাডাম
দিচ্ছে বাহবা বেশ।

আমি একুশ, দেখি চারহাজার
ভাষার আমি অষ্টমীতে
আমি একুশ, বলি ভাষার জন্য
আর কেইবা জীবন দিসে।

আমি একুশ, বলি এমন মধুর
সুরে কেই ডাকে মা’
আমি একুশ, ক্ষুব্ধ হই’ যখনি
বলে কেউ মাদার।


আমি একুশ, কেন বাংলা শুধু
পত্রিকারই আর ম্যাগাজিনে
আমি একুশ, কেন ইংরেজি
বলে মজুর, ডাকপিয়নে।

আমি একুশ এলেই কেন
ফুল দিয়ে পুজো করো,
আমি একুশ বলছি, ফুল
দিয়ে রফিকের মন ভর।

আমি একুশ, চাই না কোন
অপাদভরা গান
আমি একুশ, চাই শুধু
বাংলা ভাষার মান।

১৬-২-১৭

-------------------------- কবিতা-২৬----------------------------

নির্ভীক মোল্লা
মুহাম্মদ সেলিম রেজা
 


মোল্লা মানে এক আল্লাহকে করে ভয়
মোল্লা  যদি সৎ পথে চলা মানুষ হয়
মোল্লা যদি নিভৃতে কাঁদে নিরালয়ে 
অটুট বিশ্বাস রাখে নিরেট নিরুপায়ে।

মোল্লা যদি সত্যকে সাম্যবাদ মানে
মোল্লা যদি মিথ্যাকে মিথ্যা জানে
নাহি নাহি নাহি তাহার কোন ভয়
দু’ভবনে আল্লাহ তাহার সহায় হয়।
 

৬-৭-১৭
 

-------------------------- কবিতা-২৬----------------------------
বাংলার প্রাণ
মুহাম্মদ সেলিম রেজা


গোলগাল নরমাল মুখের গড়ন তাঁর
এমন হুর দুনিয়ায় দেখিনি তো আর

গায়ের গঠন সুঠম নিপুণ শুভ্রতায় ভরা
শত মানুষের হৃদ মাজারে কল্পনারই তারা

সাদামাটা জামা গায় কুর্নিশ ফোর্ট
জামাটার নতুন নাম মুজিব কোর্ট

মিষ্ঠ, সুরেলা, দীপ্ত, বজ্র তাঁর কণ্ঠ
প্রতিভার সাতকাহন নেই যাঁর অন্ত

নিষ্ঠা, সততা, উদারতা সর্বগুণে ঠাসা
অন্যায়ের বিরুদ্ধে দীপ্ত তার ভাষা

একাত্ত্বরের নরক দিনে মানুষের হাহাকার
শক্তহাতে দমন করলেন হায়েনা-রাজাকার

মায়ের আঁচল ছিঁড়ে খাচ্ছে হায়েনার ঝাঁক
মা ভক্ত খোকা গর্জে দিলো মুক্তির ডাক।

বাংলা মায়ের সম্ভ্রম তিনি, তিনি তরুলতা
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আনলো স্বাধীনতা

যাহার তরে বাংলার ঘরে শান্তির কলতান
বাংলার কৃতিসন্তান শেখ মুজিবুর রহমান।

২২-১-২০১৭
১২.০০  রাত

-------------------------- কবিতা-২৬----------------------------
মাসুম বিল্লাহ স্যারের স্বরণে-

আপনাকে ভাবি
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

আপনাকে মনে পড়ে এই অবেলায়
বেঁধে রেখেছো মোরে কোন মমতায়।

ছুটে যেতে মন চাই তোমারো পানে
শতকাজ তবু মোর মন নাহি মানে।

কবে পাবো দেখা তব তাই ভাবি ক্ষণ
দেখা করে কথা হলে ক্ষান্ত হবে মন।
 

-------------------------- কবিতা-২৫----------------------------
মামা বাড়ি
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

টাপুরটুপুর মধ্য দুপুর
সোনার নুপুর পায়,
একটু সুযোগ পেলেই খোকা
মামার বাড়ি যায়।

ভিন্ন মেলা ভিন্ন খেলা
ভিন্ন মজা পাই,
যখন তখন মামার বাড়ি
খোকা যেতে চায়।

প্রকাশিত: টাপুরটুপুর,

-------------------------- কবিতা-২৪----------------------------
স্বাধীনতার মানে
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

স্বাধীনতার মানে খুঁজি বানরের কাছে
বানর বলে-
উন্মাদ হও সবে রংতামাশার নাচে।

সুখ তুমি খুঁজে নাও রমনীর ভাজে
বানর হলে-
ফূর্তিতে মাতো তুমি জগতের মাঝে।

নিয়ম-নীতি তুঙ্গে তুলে দুনিয়া কম্পান
বানর চলে-
স্বাধীনতার রঙ্গতলে রঙ্গেরও সম্পান।

রঙ্গরসের সঙ্গপনে নয় সে স্বাধীনতা
মানুষ তরে-
মগ্ন হয়ে করবে সেবা থাকবে অধীনতা
 

-------------------------- কবিতা-২৩----------------------------
খোকা হাসে
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

মোবাইলে কথা বলে
সিঁড়ি বেয়ে চলতে গিয়ে
চিৎপটাং হয়ে পড়ে

তা দেখে-
খিল-খিলিয়ে খোকা হাসে।

তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে
উল্টো জামা গায়ে দিয়ে
দাদু চলে হেলেদুলে

তা দেখে-
খিল-খিলিয়ে খোকা হাসে।

কিড়িং কিড়িং রিং বাজে
বস আছেন মগ্ন কাজে
কলম ধরে হ্যালো বলে

তা দেখে-
খিল-খিলিয়ে খোকা হাসে।

আটোসাটো জামা গায়
মিয়া-বিবি হেঁটে যায়
তাদের যা দেখা যায়

তা দেখে-
খিল-খিলিয়ে খোকা হাসে।

যেমন খুশি তেমন সাজে
গেদু চাচা মরে লাজে
নারী সাজে লাগছে বাজে

তা দেখে-
খিল-খিলিয়ে খোকা হাসে।


-------------------------- কবিতা-২২----------------------------
ব্যস্ততা
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

আজ অনেক কাজ ছিলো
বসে আমায় কল দিলো
বললো খুবই জরুরী কাজ
না বলে দিবেন না লাজ
তাই আজ হলো দেরি
প্লিজ রাগ করে না, সরি।

দরজা খুলে রুক্ষ কণ্ঠে
বললে আমায় বেজায় মন্ডে
রোজ রোজ একই কথা
আমি এক তন্দ্রিলতা
তোমার সাথে দিলাম আড়ি
চলে যাবো বাপের বাড়ি।

ও সোনা রাগ করে না
ঘুমাও তুমি গোল করে না
ভাত আমি খাচ্ছি বেড়ে
আজও আমি গেলাম হেরে
এমন সুখে আছে কি কেউ
পেয়ে এমন লক্ষ্মী বউ।
 

-------------------------- কবিতা-২১----------------------------
শংক বাজে
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

ভালো আছি বলতেই তোর ঠোঁট কাঁপে
জীবনের কাছে হেরে সুখ-দুখের মাপে

জীবনটা ভ্রষ্ট, অতিষ্ট দুঃখ কষ্টের চাঁপে
সরীসৃপ হয়ে গেছিস জীবনের নৃঢ় ধাপে

নিশাচর হয়ে গেছিস লোক লজ্জার আঁচে
এখনও জোনাকি আছিস আমারও কাছে

অতীতের গ্লানি বয়ে বেড়াস সকাল সাঝে
যা হবার হয়েছে তোর কি-ই করার আছে

নতুন করে স্বপ্ন দেখো হৃদয়ের মাঝে
অদূরেই রংধনু রক্তিম পাশে শংক বাজে

-------------------------- কবিতা-২০----------------------------
গাঁধাফুল
মুহাম্মদ সেলিম রেজা


তুমি মোর জীবনের অনন্যা
যে আমার কাছে রাজকন্যা
যার রূপের নেই কোন তুলনা
সে এক মহিয়সী ললনা।

যাকে নিয়ে লিখি আমি কবিতা
যে আমার মনেরই মৌমিতা
যে আমার হাতে আঁকা আলপনা
যাকে ভাবি মনেরই কল্পনা।

যার ভালোবাসায় হই আকুল
যার ছোঁয়ায় হই আমি ব্যাকুল
সেই তুমি আমার গাঁধাফুল
তুমিই মোর জীবনের সাতকুল।
৬-৬-১৭
-------------------------- কবিতা-১৯----------------------------
অনেক আছে চাওয়া
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

অনেক আছে চাওয়া আমার
পাইনা যে তার নুণ্যতম
নুণ আনতে পানতা ফুরোয়
যাচ্ছে জীবন হরদম।

অনেক আছে চাওয়া আমার
ডাল ভাতই পাই না
ভালো একটা জামা-কাপড়
শুভ দিনেও রইনা।

অনেক আছে চাওয়া আমার
মাছ মাংস আর পোলাও
কোন রকম দিন কাটাচ্ছি
খেয়ে পান্তা ছোলাও।

অনেক আছে চাওয়ার আমার
দামী গাড়ি আর বাড়ি
টিনের চালেই যাচ্ছে কেটে
জীবন নায়ের তরী।

অনেক আছে চাওয়ার আমার
জামদানি আর নেকলেস
এমন স্বামী পাইলাম আমি
জীবন বুঝি শেষ।

অনেক আছে চাওয়ার আমার
করবো লন্ডনে বাড়ি
দেশের যে দূরাবস্থা
তাতে কি পারি।

অনেক আছে চাওয়া আমার
থাকবো দু’জন চাঁদে
ভীষন পারাই  ভূগছি এখন
পড়ছি র‌্যাবের ফাঁদে।

২২/৬/২০১৬

-------------------------- কবিতা-১৮----------------------------
গান
ভাবতেই চোখে জল আসে
 
ভাবতেই চোখে জল আসে
কি করে রব দোযখে (২) ও

ওগো  ধরার নিরঁজন
দেখ অধোগামির করণদন
ক্ষমা করো মোরে

কি করে রবো দোযখে (২) ও



সৃজিয়াছো নিজের হাতে
রেখো তোমার রহমতে
দিওনা দিওনা নরকে

কি করে রবো দোযখে (২) ও




মুস্তাকিমের পথ দেখাও
বিপদ আপদ এধরাতে দাও
তবু দিও না দিও না জাহান্নামে

কি করে রবো দোযখে (২) ও



মুহাম্মদ সেলিম রেজা
০৫-০১-২০১৬


-------------------------- কবিতা-১৭----------------------------
তোকে ছাড়া
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

তুই যে আমার সোনার ময়না
তোতা, টিয়া পাখি
যখন তখন দেখতে চাই
আমার দুটি আখি।

তুই যে আমার আধাঁর রাতে
জোৎস্না চাঁদের আলো
তাই তো তোরে নিজের থেকে
বাসি অনেক ভালো।

তুই যে আমার কষ্টের মাঝেও
হাসি মাখা মুখ
তোকে দেখেই মন মাজারে
পাই যে খুঁজে সুখ।

তোকে ছাড়া জগৎ মাঝে
মরতে আমি রাজি
তুই ছাড়া জীবন আমার
বৈঠা ছাড়া মাঝি।

টাপুরটুপুর, সেপ্টেম্বর-২০১৬

-------------------------- কবিতা-১৬----------------------------
কবি না হয়ে
মুহাম্মদ সেলিম রেজা


আমি কবি নই তবু
ক লিখতে গিয়ে ব লিখে
ত এর প্রথমাংশ আঁকার চেষ্টা করছি

হঠাৎ কলম কেন জানি থমকে গেল
দোয়াতের কালি কী আমার মনের
কথাগুলো লিখতে চাই না? তবে কি কবিতা লেখা হবে না!

কিন্তু মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা
কথাগুলো যে আজ পরিপক্ক ডালিমের মতো
বের হয়ে আসতে চাইছে।

উষার আকাশে সাতরঙা রঙধনু মিষ্টি হাসে,
দুষ্টু রঙধনুকে বললাম-
ওগো রঙধনু- তোমার একটু রঙ দেবে?
রঙধনু তার সাত রঙের বাহারী রঙ
আমাকে সাদরে বাড়িয়ে দিল।

কিন্তু একি!
একটুকরো কাগজ সেও যে
লেখনির অযোগ্য হয়ে গেছে!
কখন জানি সুপ্ত বেদনার নীল অশ্র“
চোখের কোণে বেয়ে বেয়ে
ভাসিয়ে দিয়েছে এক নদী।

ভেসে গেছে হিমালয়, ভেসে গেছে মাতৃভূমি!
তবে কি আমার কবিতা লেখা হবে না?

কিন্তু আমি আজ কোন বাধাই মানবো না,
যেভাবেই হোক কবিতা যে আমায় লিখতেই হবে
মনের কথাগুলো যে আমাকে বলতেই হবে।


অবশেষে আকাশকে বললাম
হে আকাশ-
তোমার বিশাল চরণভূমিতে কিঞ্চিৎ জায়গা দেবে?
বিশাল আকাশ তাঁর বক্ষ দ্বি-গুণ করে বললো-
ওহে কণিক,
তোমার কুণ্ঠিত, নিষ্পেষিত, দূরুহ বেদনা,
মানবতার নিদারুন কষ্ট, নিষ্পেষিত মজলুম
জনতার কথাগুলো তুমি লিখো, লিখো আমার বুকে,
আমি জানিয়ে দেবো বিশ্ব মানবতার দ্বারে দ্বারে।

বিশাল মুক্তমনা আকাশ আর রঙের লীলিমা
মিশিয়ে লিখে চলেছি আমি, লিখছি মানুষ আর
মানবতার কথা,
বলছি বুকের কুলঙ্গির ভেতর কুটরে কুটরে খাওয়া
বচনগুলো।
বলছি বিশ্বসভ্যতার নামে অসভ্যতার বিবরণ।
বলছি, মানুষ নামের নরপশুদের উন্মাদনা।
বলছি, বর্বরতার এক নিদারুন কাহিনী।
বলছি, হায়েনাদের লুটেপুটে খাওয়া এক রমণীর গল্প
বলেই চলেছি, এ যেন অন্তহীন কথন
যেন শেষ হবার নয়!

৯-২-১৭
অপরাহ্ন


-------------------------- কবিতা-১৫----------------------------
ঘৃণা
মুহাম্মদ সেলিম রেজা


ঘৃণা ভালো’ না ঘৃণা ভালো নয়
মানুষকে ঘৃণা নয় ভালোবাসতে হয়।
ঘৃণা মন্দ’ না ঘৃণা ভালো হয়
পাপকে ঘৃণা করো পাপীকে নয়।

ঘৃণা যে করে সেই হয় ঘৃণ্য
মুছে ফেলে ঘৃণা হতে হবে ধন্য।

ঘৃণা করে এ জগতে হয়নি কারো সাজা
ভালোবেসেই মরেছে অনেক রাজা-প্রজা।
ঘৃণা ভ্যাস ভালোবাসায় ভালোবাসার জয়
তাইতো ভালোবাসার দূর্গ যুগেযুগে রয়। 

প্রকাশিত: মাসিক ভিন্নমাত্রা,জানুয়ারি-২০১৬

-------------------------- কবিতা-১৪----------------------------
উত্তমা রমনী
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

উত্তমা রমনীর রূপেরও বহরে
মন যায় হারিয়ে স্বর্গের শহরে
ভালোবাসা জাগে হৃদয়ের নহরে
দীপ্ত হয় মন মনেরও লহরে। 

যৌবন দেখিয়া আঁখি যায় ঠাওরে
সই না যাতনা বুকেতে নাওরে
উন্মাদ হবো দু’জন প্রেমেরও হাওরে
মন বলে মন মাঝি বৈঠা বাওরে। 

অমিয় সুখ দেবো রাখবো আদরে
রাখবো জড়িয়ে ভালোবাসার চাঁদরে
ভালোবাসা দেবো তবু কেন কাঁদরে
সব ভুলে ভালোবাসা নাও না সাদরে। 


প্রকাশিত: মাসিক ভিন্নমাত্রা, ডিসেম্বর, ২০১৬
-------------------------- কবিতা-১৩----------------------------
অপেক্ষা...
মুহাম্মদ সেলিম রেজা 

এখন অনেক রাত
একলা কাটেনা রাত
আকাশে বজ্রপাত
হৃদয়ে প্রেমের প্রপাত।

ভাবি কত শত
তুই মনেরি মত
ভালোবাসবো অবিরত
হৃদয়ে আছে যত। 

কতদিন হলো গত
আমিতো আছি ব্রত
হৃদয়ে হচ্ছে ক্ষত
তুবও হয়নি নত। 

অপেক্ষা করবো কত
জীবনটা যাচ্ছে সেতো
হৃদয়টা শান্তি পেতো 
যদি তোকে পাওয়া হতো। 
-------------------------- কবিতা-১২----------------------------
অমৃত ভালোবাসা
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

স্বর্গেও ভালো লাগেনি আদমের
তাই স্রষ্ঠা দিলো তাঁরে হাওয়া,
একটু সুখের আশায় আজ
তোর কাছেই ছুটে যাওয়া।

দুই দিগন্তে দুইজন তবু
হলো একদিন মিলন,
আজও আমি আশায় থাকি
পাবো বুঝি তোর মন।

দু’জন মিলিয়া করিল বিয়া
আল্লাহই ছিল তাদের কাজী,
অম্রিত ভালোবাসা দেবো তোকে
শুধু তুই হয়ে যা রাজী।

দাম্পত্য জীবন গড়িল ভুবন
আমরাই তার বংসধর
এাত ভালোবাসি তবুও কেন
মিছে ভাবিস আমায় পর।


প্রকাশিত: মাসিক টাপুরটুপুর, নভেম্বর, ২০১৬




-------------------------- কবিতা-১১----------------------------
একি লজ্জা!
মুহাম্মদ সেলিম রেজা


রাস্তায় ঠাঁই নেয়, গরীব দুখী অসহায়
শিশুকে বুকে নিয়ে, রাখে মা মমতায়
খাবারের যোগানে, মায়ের ব্যর্থতায়
কেঁদেকেঁদে শিশু বলে, আমার অর্থ চায়।

যাই পায় তাই খায়, পথচারীর কর“ণায়
বাসিপঁচা বোঝে না, অতি ক্ষুধার তাড়নায়
ফুটপাতে ঘুমায় তারা, রাত কাটে যন্ত্রণায়
মশা তাড়ানোর মতো, তাদের কোন মন্ত্র নাই।

হাঁড়কাঁপা শীতে, দাঁতে দাঁত কাঁপুনি খায়
শিশুকে বুকে চেপে, মা শুধু কেঁদে যায়
অনেক শিশু-বয়স্ক, মরে শীতের কব্জায়
এসব দেখে বিভ্রম, মরি আমি লজ্জায়।

-------------------------- কবিতা-১০----------------------------
বিয়ের পিঁড়িতে
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

শৈশব কৈশোর পেরিয়ে; যৌবন বয়সে
করতে হবে বিয়ে; বাবা-মায়ের খায়েসে
তারা ভাবে থাকবো আমি; আরাম আয়েসে
অবশেষে বসলাম আমি; বিয়ের পিঁড়িতে।

অবশেষে অনেক খুঁজে, পছন্দ বউ-বর
দাদী বলে তাড়াতাড়ি, দিনক্ষণ ঠিক কর
বরযাত্রী ঘোড়ার গাড়ী, শানাই বাজিয়ে
ঘরে আনলাম বউ, লাল শাড়ী সাজিয়ে

-------------------------- কবিতা-৯----------------------------
ভালোবাসার শুণ্যস্থান
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

তোমাকেই চেয়েছি জীবনে; না
না চেয়েছি আর কিছু ভুবনে; না
না চেয়েছি অর্থ প্রাচুর্য; না
না চেয়েছি ক্ষমতার পবনে।

চেয়েছি তোমায় ভালোবাসার দামে; হ্যাঁ
হ্যাঁ চেয়েছিলাম ভালোবাসা অনুনয়ে; হ্যাঁ
হ্যাঁ ভালোবাসা যদি যেতো কেনা; হ্যাঁ,
হ্যাঁ কিনতাম আমি স্বর্গের বিনিময়ে।

বোঝনি আমার নিষ্পাপ ভালোবাসা; জানি
জানি বুঝেছিলে কোন এক সময়ে; জানি
জানি অনেক দেরী হয়ে গেছে তখন; জানি
জানি পারোনি আসতে ফিরে আবেগী প্রণয়ে।

-------------------------- কবিতা-৮----------------------------
সবচেয়ে দামী
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

গভীর নিশিতে, মনের উঠোনে,
তোর পাগলামী,
আকুল করিস, কাছেতে টানিস,
পাগল হই যে আমি।

শব্দ নিরেট, মূল্যবান হিরক,
তুই সবচেয়ে দামী,
ভালোবাসি তোকে, তুই জানিস,
আর জানে অন্তর্যামী।


প্রকাশিত: ভিন্নমাত্রা, নভেম্বর, ২০১৬

-------------------------- কবিতা-৭----------------------------
ডাব চোর
মুহাম্মদ সেলিম রেজা


কী কইবি

কই যাইবি

বাদামের ঠোঙ্গা

হাতে নিয়ে চোঙ্গা

ডাব গাছের নিচে

খেয়াল রাখিস পিছে

আমি আছি ভয় কিসে

হয়ে গেলাম পুলিশ দেখে।


প্রকাশিত: টাপুরটুপুর, অক্টোবর, ২০১৬

-------------------------- কবিতা-৬----------------------------
ক্ষমা করে দিস
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

প্রতিদিন তোর একটা মিসকলের আশায় থাকি
এই বুঝি একটা কল করছিস তুই
না, অপেক্ষার প্রহর নীল সমুদ্রে মিশে
তবু, তোর মনে পড়ে না আমায়।

হ্যাঁ, জানি একদিন খুবই মিস করবি আমাকে
হয়তো সেদিন তোর কোন উপকারে আসতে পারব না
মন প্রাণ কষ্টে চৌচির হবে তোর মনের ভীতরেই
কিছু বলতেও পারবি না, সহ্য করার শক্তিও হয়তো হারিয়ে ফেলবি
আর নিথর হয়ে অশ্রু ঝরারি, দু'চোখ বেয়ে শুধু গড়িয়ে গড়িয়ে পড়বে

আমি হয়তো সেথায় থাকবো না,
হয়তো কেউ নয়,
নীরবে যন্ত্রণায় কাতরারি তুই
ক্ষমা করে দিস সেদিন আমায়,
আমি তো তোরই আছি, খোলা জানালায়।

২৭.৯.১৬

-------------------------- কবিতা-৫----------------------------
পরকালের ভয়
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

সদা সত পথে থাকি, সত্য কথা বলি,
করিনা অহমিকা মিছে,
দুনিয়ার তরে, ভুলে মৌনলতারে
চলিনা ললনার পিছে।

ভূমিতে নুয়ি
স্রষ্ঠার কৃপায় অবনত মস্তকে,
জীবনের তরে আছি এই ভবে
যাব ঠিকই তোমার চতুস্কে।

হিসাব চাইবে যখন,
দুনিয়ার কর্মফলের,
কেমনে মিলাইব অংকের লগরিদম
আমি যে তোমার বান্দা অধম।

ডরি তোমারে,
করি যত বন্দেগী তব
নাওনা মাবুদ রহমে তোমার
তুমিই তো মোদের অনুকংপা রব


২৪.০৫.২০১৬

-------------------------- কবিতা-৪----------------------------
ঈদের শিক্ষা
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

ঈদ এলো এলো ঈদ
চোখে আমার নাই নিদ
নতুন জামা পাঞ্জাবী পড়ে
আব্বু আম্মুকে সাথে নিয়ে
কখন যাবো ঈদগাহে
পড়বো সালাত একসাথে।

আলিঙ্গন করবো সবার সাথে
নেই ভেদাভেদ একে অপরে
ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিব
গরীব দুখির খবর নিব।

হাসি মুখে বলব কথা
ভুলে যাবো বিভেদ ব্যথা।

ঈদের এই মহান শিক্ষা
সুখি জীবনের নতুন দিক্ষা
ঈদের শিক্ষায় সমাজ গঠন
তবেই শান্তি মোদের ভুবন।

-------------------------- কবিতা-৩------------------------------
পথচারী
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

ভো ভো টিট টিট
চলছে আমার নতুন জিপ
পিপ পিপ, পিপ পিপ
হর্ণ বাজিয়ে চলছি ঠিক।
হঠাত একটা পথচারী
পড়লো আমার সামনে গাড়ীর
ওমনি কষে করলাম ব্রেক
লোকটা গেছে মরে অর্ধেক
তড়িঘরি আহামরি
লোকজন হলো জড়ি

জলদি লয়ে চ’ হসপিটাল
পরে হবে এর সমাধান
ততোপর বল্লো সবে
ড্রাইভিং শিখছো কবে
আমিও বল্লাম তাদের
বোধবুদ্ধি নেইকো যাদের
ফুটওভার ব্রীজ ছেড়ে তারা
জীবনের মায়া ছাড়া
রাস্তা পার হয় দিয়ে দৌড়
বেচেছে এই তো জোর।

২৫.৪.২০১৬
প্রকাশিত, টাপুরটুপুর

-------------------------- কবিতা-২----------------------------
চির সত্য
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

পৃথিবীটা বৃত্ত
বলতো নিত্য
চ্যাপ্টা, লম্বা, সমান্তরাল
বলেছিল কত কি যে যত সব আবাল।


প্রমাণিত আজ ডিম্বাকৃতি আমাদের এই ধরা
চন্দ্রের নাহি আলো সে যা পাই সুর্য্যরে অরা (আলো)
রাতের জ্যোস্না সে তো তারই ফসল
প্রেমিক যুগলের মনে জাগায় অনল।


সমুদ্র অতলে ঘোর অন্ধকার
ইহার চেয়ে কালো নেই কিছু আর
চির সত্য থাকে অম্লান
যা ইতোপূর্বে বলেছিল কোরআন।


২৮.৪.২০১৬
প্রকাশিত, মাসিক ভিন্নমাত্রা

-------------------------- কবিতা-১----------------------------
মানবতা
মুহাম্মদ সেলিম রেজা

মানুষকে ভালোবেসে
মুখে দেব অন্ন
মানুষকে ভালোবাসলে
হবো মোরা ধন্য।

টাকা পয়সা সোনাদানা
এসব কিছু নগণ্য
ক্ষমতার মোহে যেন
না হই মোরা বণ্য।

পীড়িতদের করবো সেবা
যদিও হয় কষ্ট
দূর্দশায় থাকবো পাশে
তবেই জীবন স্বার্থক।

নিজেকে করবো হেবা
অসহায়দের তরে
মানবোনা জাত ভেদাভেদ
মানবতাই স্বীয় ওরে।

হানবো না কারো সম্মানেঘাত
বলব না কটু কথা
ভাইভাই হয়ে থাকবো সবে
এইতো মানবতা।



৭.৫.১৬
প্রকাশিত, মাসিক ভিন্নমাত্রা 
------------------------------- প্রিয় উক্তি-----------------------------
প্রিয় উক্তি- (১)
জীবনে যত সমস্যা, তত শিক্ষা

প্রিয় উক্তি- (২)
সময়ের সাথে সাথে চিন্তা শক্তির পরিবর্তন হয়, সুতরাং এগিয়ে যাও

প্রিয় উক্তি- (৩)
তুমি মূলত দুইজন মানুষ। একজন ‘আপনি’ আরেকজন আপনার ভেতরে থাকা ‘আমি’

প্রিয় উক্তি- (৪)
কষ্ট না থাকলে সুখ বোঝা যেতনা, তুমি যে সুখে আছো তা বোঝার জন্য হলেও কষ্ট নিও।

প্রিয় উক্তি- (৫)
সত পথে থাকলে কষ্ট পেতে হয় ঠিকই কিন্তু‘ সুখও পাওয়া যায়,
আর  অসত পথে থাকলে কষ্ট না পেলেও  সুখও পাওয়া যায় না।

১০.০১.২০১৬


প্রিয় উক্তি- (৬)
কাউকে ঘৃণা করলে ঘৃণা পাবে
আর ভালোবাসলে ভালোবাসা পাবে।

প্রকাশিত, টাপুরটুপুর, অক্টোবর, ২০১৬।