এস. এম সন্ধান (সবুজ)। জন্ম: জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার চেঁচড়া গ্রামে। পিতা: এ.এইচ.এম. আখতার উজ্জামান (মাষ্টার), মাতা: মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা। ছোট বেলা থেকেই কবিতা, উপন্যাস, গল্প, নাটক, ছড়া লেখার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি প্রচণ্ড ইচ্ছা ছিল এবং সেই সাথে লেখা-লেখির সাথে যুক্ত থেকেই নিজস্ব সংবাদদাতা হিসেবে ঢাকার দুটি পত্রিকা ও বগুড়ার আজ ও আগামীকাল ডেইলী পত্রিকাতে কাজ করেন। ঢাকা পত্রিকা একটি মাসিক ও একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা স্বদেশ ভূমি ও সাপ্তাহিক পত্রিকাটি পাক্ষিক পক্ষ ব্যাতিত কাজ করেন। এ দ্বার ছদ্মনামে আজ ও আগামীকাল পত্রিকাতে কবিতা প্রকাশ ও স্বরচিত কবিতা পাঠ করে স্কুল কলেজ থেকে অনেক ছোট-খাটো পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া তিনি নিজের কয়েকশতাধিক কবিতা, ৮-১০টি উপন্যাস, ছোটদের ছড়া, গল্প, নাটক এবং পাণ্ডুলিপি মাত্রবন্দি আছে যা সমস্যার কারণে প্রকাশ করতে পারেন নি। তাই অনেক কষ্টে ১৪ বছর পর তার প্রথম প্রকাশ ‘জল দেখে তুই বল’ কবিতা বইটির মাধ্যমে দর্শক বা পাঠক/পাঠিকার অন্তরে পথ চলা শুরু করলেন। আমরা আশা করছি তাঁর এ পথচলা অব্যহত থাকবে।
- প্রকাশকঅর্পিতা
নির্মম পৃথিবীতে মিছে আয়োজন-
মন আছে দেহ নেই বুঝি অকারণ,
মনে মনে ঘাত প্রতিঘাত
নিষ্প্রয়োজন তাই অবরণ।
স্বপ্নের মাঝে সবি অর্পিতা-
জামিনিতে মনে হয় সবি মধুমিতা,
কপোতি লহিছে শপথ-
প্রেম সমাধী অনুকূল শয্যায়িতা।
তাপস-তাপসী ওগো আয়েজী-
রূপে রূপসী তুমি সায়েজী,
শর্তে অর্থ নেই যার-
তাই সে বায়েজী।
বায়েজী যে সেই বাজিগর-
স্বপ্নের পৃথিবীতে প্রেম সিদ্ধি খেলাঘর,
আমি সমিরণে সব হারিয়ে-
পঙ্গু তাই কাঁপছি থরোথর।
নির্মম পৃথিবীতে নেই গুণীর পণ-
স্বজনে ভোজন বোঝে সর্বজন,
দুঃখের সমীরে নেই প্রিয়জন-
হতে সেই হৈমতপুরী ভাবে সারাক্ষণ।
অঞ্চলে আঁখির বন্ধি সিন্ধু-
ভালোবাসার আঁখিজল জমে বিন্দু বিন্দু,
অবরণহীন পদ্ম পূর্ণ-
ভাঙ্গা প্রেম গন্ডে গিন্ডু।
প্রেমের দীপ্ত শিখা
যৌবনে জাগালে ললিতা-
দিপ্ত শিখার অনল,
কেড়ে নিলে সবি জীবনের-
কেড়ে নিলে মোর বাহুবল।
দিপ্ত শিখার সুপ্ত অনল-
পানিতে নিভানো জ্বলে জ্বলজ্বল,
এ বুঝি প্রেম দিপ্ত শিখার আগুন-
নয় অন্য কিছু দেখ অবিকল।
দিপ্ত শিখার অনল জ্বেলে-
গোলকের মাঝে ঢোলক ফেলে,
এ প্রেম নয় বুঝি বিভীষকা-
দিপ্ত শিখা নয় সে মরিচিকা।
প্রিয়সীর প্রেমে সেঞ্চুরী-
রফ আছে তাই সে করে বাহুজুরী,
পাষাণী সে মায়াবিনি অবিকল-
দিপ্ত শিখা অঙ্গনে ছলনারি আঁখিজল।
আজি প্রেম দিপ্ত শিখা-
মানে না সে সদাচরণ,
দাউ দাউ করে জ্বালাই সবি-
মিলনের সাধ খোঁজে অকারণ।
অর্পিতা জীবনে প্রেমের দিপ্ত শিখা-
তোমার অনলে পুড়ে হয়েছি ছাই,
প্রীতি ঝরে স্মৃতিটা রয়েছে তোমার-
দহনের মাঝে শান্তির প্রেরণা নাই।
কিংবদন্তীর প্রেম
কংকীট জীবনের অন্তিম মুহুর্ত-
বলবান শক্তি হৃদয় মুমূর্ষ।
বিদায়ের পথ গুণছে প্রহর-
শেষ মুহুর্ত প্রাণ বুঝি যায় যায়?
পৃথিবীটা আজি সর্ব শান্ত-
সুখি কেউ ধরণীতে পরিশ্রান্ত!
নাজেহাল আজম গুজব পরিবেশ-
স্বর্গের মাঝে কেউ নিঃশেষ ক্লান্ত?
মায়া মমতা ধরণীতে উধাও-
প্রেমের বীণা লেলিহান শিখার বাও!
জলজ্যান্ত জীবন ব্যর্থতায় পূর্ণ-
অন্তরে আহাজারী অর্কীটা পণ্য?
রূপসী কংকীট নিঃশ্ব পিচাসীর মূর্তি-
প্রেমে মিছে বধুর সাজে অঙ্গে বাসন্তি!
রূপসীদের প্রেম সর্বজনীন জয়ন্তি-
প্রেমে প্রিয়া নয় বধু কিংবদন্তী?
নাগ নাগিনীতে সং প্রেমে মিছে ঢং-
কৈলাসীর কৈশর প্রেম বদন্তীর বক্ষ রং!
বক্ষে বক্ষিয়ান বদন্তির নিভৃতে অশ্রু সং-
পরোপার সাজানো সমাধী জয়ন্তী রং?
জীবনের অগোচরে
অর্থ সর্বনাশীর প্রেম শব্দহীন-
ধংসাষীর ভালোবাসা সাজায় বেদীন,
ছলনাময়ী তারা বিষধর নাগিন-
ধ্বংস করে কপোতী নয় নাগিন।
স্মৃতি ফেলে অর্থহীন শর্ত-
ভালোবাসা মানে ছল না আর ব্যর্থ,
এলো কত স্মৃতি হৃদয় ক্ষত-
প্রেমের মূল্য কেউ বোঝে না যথাযথ।
নিপাতি প্রেম অন্ত্রাঘাত-
আঘাত করলে জ্বলে নির্ঘাত?
জ্বলবে করবে নিঃস্পাত-
নিপাতি প্রেম গোলক ধাঁধাঁ,
প্রেমের বাধা দিতে পারি সাজ কৃষ্ণ-রাধা।
নির্মম পৃথিবী বুঝায় ভালোমন্দ-
স্বর্গভীরে আজও ললিতার দ্বন্দ্ব,
অগোচরে তাই জলপ্রপাত-
প্রেম নয় দামী জীবন নস্যাৎ।
অহংকারের মালা
জন্ম জন্মান্তরে তুমি অমানষী-
আজও তোমার গলে অহংকারের মালা,
অহংকারী অন্তর তোমার শুধু ধ্বংস-
আমার জগতে তুমি ছলনার খেলা।
নিজের অহংকার ছুড়ে ফেলে-
সুখের স্বর্গটারে দুরে ঠেলে,
দুঃখটাকে জীবনের স্বর্গ বলে-
অসুখের মাখে দেখবে স্বর্গ মিলে।
রূপের অহংকার ভালোবাসা বলে-
চিরতরে আমায় অর্কিট কবলে,
জীবনের স্বপ্ন ভাসালে সাগর জলে-
আমাকে আছ তাই আজও ভূলে।
তোমার প্রেমের জীর্ণ পদতলে-
সেকথায় আজও গেলাম বলে,
পার আঘাত কর দেবনা অভিষাপ-
তোমার জীবন ভরে থাক ফুলে ফুলে-
অহংকারী প্রিয়া বুঝবে পতন মালা-
সাগর শুধু খেলে যায় ঢেউয়ের খেলা,
কষ্টে আছি সুখে আছি তবু তাই-
সমাধীটাই আমার কাছে ভরণ মালা।
বুঝবে সব জীবনের ঢেউ থেকে গেলে-
সেই দিন হয়ত আমাকে খুঁজবে,
দু’হাতে ঠেলে অহংকার ভুলে-
দেখবে ধরণীতে নেই গিয়েছি সমাধি তলে।
মরে গেছে প্রেম
বিলুপ্তি বিলাস গহিনে-
অভিলাষ মর্মবিধুর প্রেম,
কেন জানি হারালাম সবি-
বেদনায় মরি তবু অবিশ্বাসী।
ক্ষণে ক্ষণে জ্বালা তাই-
মরে গেছে প্রেম আর কি চাই,
হায় হায় যন্ত্রণারই হা-হাকার
জানি না এ জ্বালা কার?
বাহুবল হারিয়েছি অকারণে-
আজ তাই অন্তর পুড়ে ছাই,
ঝরে ঝরুক না সমাধি গড়ে গড়–ক না-
না ফুটে ফুলে ঝড়ে গেছে জীবনের কলিটাই।
পলে পলে জ্বালা তাই শয়ন বেলা-
সমাধীর পরেও তোমায় যাবে না ভোলা,
প্রেম সাগরের ঢেউ-
খেলে গেল ছলনারী খেলা।
মরে গেছে প্রেম রেখে তার স্মৃতি-
রুপবী ঝরবেই তাই তুমি ধ্বংস প্রীতি-
আত্মহারা অহংকারী প্রিয়সী-
ক্ষমা চেয়ে প্রেয়সী বিদায়ের মিনতি।
প্রেম বিদ্রোহী
(১)
আমি প্রেম বিদ্রোহী-
তবু ভাঙ্গি না কারো মন,
মনবিনা ভাঙ্গি না অন্তুর!
কর পাষাণী পাষাণ সেজে-
প্রিয়র সাথে বিদ্রুপ,
তবু ভেঙ্গনা কারো-
প্রেমের বাসর?
(২)
আমি প্রেম বিদ্রোহী-
নয় কোন নীড় ভাঙ্গা ঝড়,
ভাঙ্গি না বাসর-
কাড়ি না অন্তর!
প্রেমে সবে সুখি হতে চায়-
গড়তে চায় সুখের তোসর,
ভালোবাসি আমি যারে-
করি না আমি তারে কোন দিনও পর?
(৩)
প্রিয়া এসেছিল মোর অন্তরে-
আলোর দিশারী ভরে,
আলো নয় সে মরিচিকা-
ভরাল জীবন প্রিয়র অন্ধকারে,
ভালোবাসার নামে বিদ্রুপ করে-
প্রিয়া করিয়া তিরস্কার,
চলে গেছ প্রিয় হতে আজ দূরে?
(৪)
আমি প্রেম বিদ্রোহী যাইনি-
কাউকে বিদ্রুপ করে,
আমি পাষাণ নয় তবো-
প্রিয়া গেছে মোর অন্তর পুড়ে,
তার মায়াবী দৃষ্টির সাথে-
মিষ্টি হেসে অন্তরখানি,
নিয়ে গেছে হৃদয় কেড়ে?
(৫)
আমি প্রেম বিদ্রোহী-
নয় তবো ছলনার অভিসারী,
প্রিয়ার নেই কিছু করণীয়!
গুরুজনের মাথায় রাখিয়া হাত-
নিয়াছে তারে শপথ করি,
শপথের কথা স্মরণ করি-
প্রিয়া গেছে ধুরে সরে?
(৬)
আমি প্রেম বিদ্রোহী-
নয় কারো মত নিন্দুক,
আমি যারে ভালোবাসি!
করি না তার সাথে বিদ্রুপ-
ভালোবাসি আমি প্রিয়ার ভালোবাস,
আজীবন ভালোবাসব তারে-
এই মোর সর্বশেষ আশা?
(৭)
আমি প্রেম বিদ্রোহী-
নয় কোন পাষাণ হৃদয়,
প্রিয়া তুমি আমায় কর ঘৃণা-
তবু তারি কথা বার বার মনে হয়,
আমি তোমার জন্য প্রিয়া !
দুঃখের স্বপ্ন দেখব আজীবন-
তুমি সুখে থাক প্রিয়,
নিয়ে প্রিয়জন?
(৮)
আমি প্রেম বিদ্রোহী-
তাই প্রিয়ার ভালোবাসাকে,
করেছি বর্জন!
প্রিয়া চিনল না আমায়-
বুঝল না মনের কথা,
মনের অন্তরালে যে
আমারও আছে মন!
প্রিয়াকে ভালোবাসার মতন?
(৯)
আমি যে প্রেম বিদ্রোহী-
তাই খুঁজিনি প্রিয়সী,
খুঁজেছিনু যারে পেয়েছিনু তারে!
ও সে যে বন্দি অন্যের জারে-
কখনো সে মিঠু- মুন,
আবার কখনো সে লিটিলে-
এখন বন্দি সে রনিতে,
বন্দি আবার সাগরে?
পারমিতা
অতীত কভু যায় না ভোলা-
পারমিতা তুমি জান কি?
জানি তুমি জানো না-
তাই অতীতকে যাবে না ভোলা।
পারমিতা তুমি জানো কি?
যারা অতীতকে ভুলতে পারে,
মন বিনিময়ে ঘৃণিত তারা
সকল প্রেমিক প্রিয়ারে দ্বারে।
পারমিতা তুমি জানো কি?
অতীত কভু যায় না ভোলা-
স্বপ্নের তুলি অতীত তাই-
অন্তর আয়নায় রয়গো তোলা।
পারমিতা তুমি জান কি?
তোমায় ভাবি দিবানিশী,
বক্ষ ভাসে আঁখি জলে-
অন্যের রাণী তুমি তবু তোমায় ভালোবাসি।
প্রিয় মোর পারমিতা-
আমি কষ্টের পর্বন
ভালোবাসার রং নাই-
মোর পারমিতা অন্যের প্রিয়জন।
জীবনের ছুটে চলা
জীবন স্মৃতি আর অতীত-
ভোলা যায় না তারে মৃত্যু ব্যতিত,
অতীত জীবনকে কাঁদায়-
পুরানো ভোলা যায় কদাচিৎ।
কত সহজেই বললে তুমি-
অতীতকে ভুলে যাও,
আমি যদি বলি তোমাকে-
আমার জীবনে তাকাও।
পুরানোকে ভোলা যায়-
নতুনের পরশে,
আমি তোমায় পারবো না ভুলতে-
যন্ত্রণার শত বর্ষে।
পাশাপাশি ছিলে তবু-
চলে গেছো ফিরবো না কভু,
নিয়তি লিখা তাই-
মেনে নিতে দ্বিধা নাই।
জীবনকে একা করে-
আজও আমি অনেক দূরে,
সেই তুমি সুখে আছ-
হৃদয়টা গেছো পুঁড়ে।
আজও তুমি সুখে আছো-
তাই ভুলেছো অতীত,
আজ আমার সবি হলো-
তবু কষ্টে তোমাকে ব্যতিত।
নামকরণে পারমিতা
সর্বহারা প্রেম
স্বপ্ন অগ্নিপ্রেমের দ্বানাল জ্বলি-
চলনার প্রেমে দৃষ্টি উনুনে হারিয়েছি বুলি,
জীবন নিঃস্ব পুরে সবি হাঙ্গার-
মরিচিকাতে ভূলি মেলিয়াছি হৃদয়েরি দ্বার।
রূপ আবিরে তাই রূপসী বাংলা রূপময়-
হারিয়াছে তবু অটুট আস্থাহীন সমাধান অক্ষয়,
স্বর্নময়ী স্বর্ণ মহল পরিধান প্রিয়শীল বর্ণে-
জাতিনাশী প্রিয়সীর সমাধান সমাধীর অরণ্যে।
নিশাচরী স্বার্থপরি ছালতীরা বারিঝড়া পূর্ণ্য
আত্মাহীন নারী আভা প্রেমে ছলনায় পরি জরাজীর্ণ
বিদগ্ধ বিধ্বংসী নারী মিছে প্রেমে জরাজরি করি,
নব যৌবনী মিলন নরক স্বর্গে স্বর্বশ্য হারি বিড়ঙ্গনায় ডরি।
জানি না কার প্রেমে পরে ছিলাম নরক আমি-
সত্যের চেয়ে তার কাছে ছলনাই ছিল বেশি দামি,
উৎছলতাই উৎচ্ছল প্রিয়ার প্রেম সাধিয়াছিলাম আমি-
তাই কে যেন মোরে করে দ্বংশন দিবাযামী।
প্রিয়াসীর প্রেম দহনে সর্বাঙ্গে পোড়া নর আমি-
নেই কিছু অংগে আমার তাই মৃত্যুর পথগামী,
প্রিয়ার দহনে জ্বলি আমি গোপনে জ্বলবো-
যাছিল সবিশেষ নেই কিছু সর্বহারা আমি তা বলবো।
সত্যটাকে করতে অবগাহন পিছু নাহিটলব
তুমি যে নিশাচরী স্বার্থপরী তা আমি বলবই শুধু বলবো।
নির্দোষ প্রেম
ব্যর্থ প্রেমের দৃষ্টি উনুনে পুড়িয়া মানব ছাই-
আজি তাহার অন্বেষণে ধরনিতে মানসী মানব নাই,
বনলতাসেন সাজিয়া তাহারা ধরণীতে দৃঢ় পূর্ণ্যতা চায়-
নির্দোষ কপত দূষি বঙ্গবাণীতে পাপিতার বিচার নাই।
বর্নে ঘরণীর শোভা ধরিয়া অন্ত প্রভাতে-
নারী জাগরণে কপতী পূর্ণ কপোত ধরেছে অস্তহাতে,
প্ররোচিত প্রেম করেছে রচনা কপোতী কপোতের সাথে-
নারী দূর্দম অপরাজিত যুদ্ধে নারী সংঘাতে।
ঘরের বধু নিসীম নারী দূর সীমানা দিয়েছে পাড়ি-
আধাঁর ভেদিয়া নারী টুটিয়া আনিল কিরণ ধরি,
কে ধরিবে আজি তাদেরি হাত নারী আজি বজ্রপাত-
প্রেমের বন্ধন ছিন্নকরে নারী সাজিয়াছে অগ্নিপাত।
রোকোয়া চিন্তার ধ্যানে নারী বশি ভূতি-
ধর্মটাকে ছিন্ন করে নারী নরের সঙ্গে সংঘাতি,
রোকেয়া সাধনা শুধু মিছে বেদনা ধর্ম করেছে ছিন্ন-
নেই নারী সীমাবদ্ধ নারীরাই বেগতি পুন্য।
ধর্মের বন্ধন ছিন্নে নারী ধর্মেই প্রতি বন্ধি-
নারী আর পুরুষে সংঘাত তারাই চির প্রতিদ্বন্দী,
একি নারী শতো নরে করেছে মন বিনিময়-
কপোতীর সমুখে বাধা কপোত প্রেমিক দুষিরয়।
নির্দোশ প্রেমিক কপোত বিনা দোষে দুষি-
ললিতা কলঙ্ক পূর্ণ সুন্দর তাই সে প্রেয়সী।
হৃদয় পোড়া প্রেম
ধ্বংসের জ্বালা আর হৃদয় পোড়া তন্ত্রে-
জীবন পুঙ্গো যন্তণারী বিরহের মন্ত্রে,
নারীর প্রেমের কারাগারে নর যেন বন্দি-
ছলনাময়ী নারী সংঘাতের মিছি-প্রেমের সন্ধি।
ভাঙ্গিলে বন্দি গন্ডি মানসীতে প্রলোভনের হাহাকার-
মানসীর বসত বক্ষে রূপসী নলতী সবার,
জীবন যুদ্ধে কেউ নয় আজি কারো সঙ্গী-
শাড়ি পড়া ভূলিয়া নারী প্যান্ট শার্টে মডেলিং ডংঙ্গী।
কী হবে পাথরের পাথরীর মাঝে বারিয়া হাত-
মুর্তির লঘু হাঁসি বিনিময়ে শুধু সংঘাত,
মায়াবীনি অঙ্গের মাঝে সংগের সাজ
রুপশী মানবী অগ্নীবর্ষা তুফান স্বর্গরাজ।
নারীর মিলনে শান্তি পুঙ্গনারী নরক রাজ-
সুলতীর প্রেমে অঙ্গো পুঙ্গো সুলতিরাই গোলন্দাজ,
মানবীরা আজ নরক রাজ বর্ণে যাদুকী বিনা-
রূপ আছে তাই গর্বে নারী করে যায় জিনা।
তুলসী পাতার ধোয়াধুপ নারীকে করিনি দোষারোপ
মানবী প্রেমের ফাঁদে ফেলিয়া মানবে করে বিদ্রুপ
মমতাময়ী নারী নয় মায়া ময়ী
মানব হৃদয় করিয়া খুন্য মানবীরাই জয়ী।
মিশুক
আসলে যে মেয়েরা মিশুক
তাদের চিনতে ভুল করে নিন্দুক
লতা আসলে আমিই ভূল
তোমার মন যে গোলাভরা সিন্দুক।
সাগরের পরে আসে সিন্ধু
সে প্রেমিক নয় তোমার প্রকৃত বন্ধু
আসলে তোমাকে চিনতে করেছি ভুল
আমাকে দিতে হচ্ছে ভুলের মাসুল।
সত্যি যারা মিশুক
তারা কখনো নয় লাজুক
ভেবে ছিলাম তোমার চোখ মায়াবী
মায়াবী নয় যেন রাইফেল আর বন্দুক।
মিশুক সে তো সকলের জন্য সমান
কারও জন্য পাষাণীর হৃদয়
কারও জন্য খোলা আসমান
কেউ বা দূষী কেউ বা জানের জান।
প্রেম ভ্রান্তি
অঞ্চল মৌন সানন্দে জীবন তনু-
আজ আমার ব্যর্থতাই পরিপূর্ণ,
জানি না কেন আমি ব্যর্থ!
আমার ভালোবাসা ছিল কার জন্য?
ব্যর্থ জীবন আজ আমার-
ক্লান্তি আর হতাশাই ভরা!
প্রেম বলে কিছু নেই,
কেড়ে শান্তি করে সর্বহারা?
ব্যর্থ জীবন শান্তির নয়-
জীবনে বইছে রিক্ত রুধির ধারা,
না বুঝে বেসে ছিলাম ভাল!
অন্তর তাই বেদনাই ভরা?
ভালোবাসা ভেবে ছিলাম যারে-
সে তো ছলনার অভিসারে,
তার-ছিল যতো জ্বালা-যন্ত্রণা!
সবি দিয়ে গেল আমায় উপহারে।
প্রেম হারানো শুধু ক্লান্তি-
ভালোবাসা মির্মম নেই শান্তি!
ব্যর্থতা ভূলে পরি শ্রান্তি,
হাড়িয়ে সবি বুঝলাম প্রেম ভ্রান্তি।
তুমি সুখি হও
তুমি সুখে থাকো প্রিয়া
আমি এই দোয়া করি,
আমি যদিও প্রেমানলে পুড়ি
তবু বলব না প্রিয়া এসো হাত ধরি।
তুমি সুখি হও
এই বাসনা করি,
তুমি যেন বনহুরি দৃশ্যপুরি
এক ডানাকাটা পড়ি।
তুমি সুখে থাক-সুখি হও
গড় নতুন স্বপ্ন পুরি,
তুমি স্বর্গ পুরে বসবাস কর
আমি যাব প্রিয়া এ পৃথিবী ছাড়ি।
স্বর্গ রাজ্যে সে তো
ভেবেছো তোমারি গড়া
মোরা গরীব বলে
ঘৃণা করিস তোরা।
সুখ পাখি সে যদি
চলে যায় স্বর্গাদেশ ছেড়ে
শত চেষ্টা করেও সে
কোন দিনও আসবে না ফিরে।
শোন প্রিয়া তুমি আমায়
যতোই যাও না ঘৃণা করে
তবু দেব না তোমায় অভিশাপ
সারা জীবন যাবে দোয়া করে।
কলংকিত হলাম
মিছে কেন কলংকিত হলাম
প্রেমিকা বলে আমার নেইতো কেউ
শুধু কলংকের জালে জড়িয়ে গেলাম
ভালোবাসা পেলাম না শুধু কলংকোই পেলাম।
আমি যারে বাসলাম ভালো
সে তো দিল না মোরে ভালোবাসা
ঘৃনাই তার কাছ থেকে পেলাম
কলংকিত হলাম শুধু বদনাম উপহার পেলাম।
তুমি ভালোবাসা দিলে না প্রিয়া
পরালে আমায় কলংকের মালা
ভালোবাসা দিলে না প্রিয়া বাড়ালে জ্বালা
উপহার পেলাম প্রিয়া বদনামের মালা।
তোমাকে ভালোবেসে প্রিয়া কলংকিত হলাম
তোমার ভালোবাসায় স্যারের প্রিয়তা হারালাম
কেন মিছে নিজেকে প্রেমোডোরে জড়ালাম
প্রেম না পেয়েও ভালোবাসা হারালাম।
বিভেদ
নারী বিনা নরের
কোন দাম নেই,
তেমনি তোমার প্রেম বিনা
আমি ঝরে পরেছি অঝরেই।
প্রেমিক ছারা প্রেমিকার
কোন দাম নেই,
আমার প্রেমিক মনটারে
নিঃশ্ব করে গেলে প্রিয়া,
ঝরালে তুমি আমায়
আমাকে ভাল নাবেসেই।
তোমার সাজানো প্রেম
হয়ে আছে সবি এলো-মেলো,
তোমার ভালোবাসার মন
আঁধারেই খোঁজে ফিরে আলো।
তোমার গড়ে যাওয়া
সুখের জীবন আজ
প্রেমে নিঃশ্ব করে আমাই
আমাকে সারাজীবন কাঁদাল।
মন ছাড়া দেহের
কোন দাম নেই,
মরে গেছে তোমার মন
আমাকে আঘাত হেনেই।
আমার প্রেমিক মন ঘোরে সর্বক্ষণ
তোমাই খোঁজে যেন সর্বস্বত:
আমি যেন তোমার কাছে
নিভে যাওয়া তারা,
আমার সপ্নগুলো অথৈই বেদনা
এ জীবন মিছে যেন তুমি ছাড়া।
গরীবের ও মন আছে
গরীবের নেই কিছু-
আছে শুধু মন,
ধনিদের ধন আছে-
নেই তাদের কিছু!
প্রেমের মূল্য দিবার মতন?
গরীবের মন নিয়ে-
খেলে ধনিরা ছিনিমিনি খেলা,
দেবে সবি ভালোবাসা দেবে বলে?
করে ছলনা শুধু উপহারে দেয় জ্বালা।
গরীবের প্রেমের দাম-
বুঝোনা ধনী-ছলনাতে বর্ণচোরা-
মধুময় বুলি তাদের আড়ালে লুকিয়ে তারা,
জন তার সম্মুখে সাজে গুণী ওরা।
গরীবের মন নিয়ে ধনীরা খেল-
সবি- বাইদানী খেলা,
গরীবকে ভালোবাসে এ বেলা
সার্থ শেষে ছুড়ে ফেলে ও বেলা।
গরীবের ভালোবাসায় সমো অধিকার-
গরীবের ও মন আছে মানুষকে ভালোবাসার,
গরীবের ও সবি নেই শুধু ক্ষমতা-
ধনীর ও সবি নেই শুধু ক্ষমতা-
ধনীর সাথে লড়াই করার।
ধনীদের ধন আছে,
আছে অর্থের মিছে অহংকার
গরীব তাই নয় জয়ী
অর্থেই গরীবের হয় শুধু হার।
তুমি ও কাঁদবে
শোন নন্দনী
তুমি আমার ভালোবাসাকে
প্রত্যাখান করে
আমাকে তুমি কাঁদালে।
আমার প্রেমের মূল্য
দাওনি তুমি প্রিয়া,
আমার ভালোবাসাকে
তুমি শুধু গেছ ঘৃণা করে।
আমাকে তোমার হৃদয়ের
ভালোবাসা থেকে
বঞ্চিত করে আমাকে
তেল ছাড়া লুন্ঠন
জ্বালিয়ে আমারে
চির তরের জন্য
তোমার প্রেম থেকে
আমার প্রেমের
জগৎটাকে শূন্য হাতে
আমাকে তুমি ফিরালে।
পবিত্র ভালোবাসা শুধু
পবিত্রই থেকে যায়,
ক্ষণিকের তরে সত্য
প্রেমিকে কাঁদায়।
পাষাণী তুমি তোমার
ভালোবাসা থেকে আমাকে
ফিরিয়ে দিয়ে যেমন
আমার হৃদাত্তাকে কাঁদালে
ঠিক তেমনি করে
শত জ্বালা যন্ত্রণা নিয়ে
তুমি ও এক দিন
আমার মতো কাঁদবে।
জল দেখে তুই বল
চোখ দেখে দে’না বলে
কেন ফিরে আসি
জল দেখে বল সখি
কত ভালোবাসি।
হাত দেখে বল আমাকে
পাবো কত বছর
তোর মাঝে বেড়ে ওঠা
অঙ্গে রঙিন চাদর।
তোর কথা ভেবে ভেবে
আমি যে উদাসী
জল দেখে বল সখি
কত ভালোবাসি।
চাঁদ দেখে বল আমারে
পুরোটা কি জানি
মেঘ মেলা ভেঙে দিতে
পারি কতখানি।
তোর আকাশে ভেসে ভেসে
আমি অভিলাষী
জল দেখে বল সখি
কত ভালোবাসি।
ক্ষমতার আক্রোসে
জীবনে অনাকাঙ্কিত ঝড়
পরেছি হিংসার দাবানলে,
তিক্ততায় সিংহের গর্জন-
চতুর্দিকে শত্রুতায় বিফলে
ক্ষমতার আক্রোসে বিনা উত্তম-
বিচারের আসনে তারা নরাধম,
মরবে জ্বলে পুড়ে-
বধুলয়ে ওরা অশান্তি দুর্গম।
সত্য অন্তরে হাহাকার-
চারিদিকে মিথ্যা শত্রু
আত্মার কষ্টে কাঁদবি নিশি
মূহুর্ত গুণে থাকবে না মিত্র।
রহিয়াছে জগৎপতি
উর্দ্ধ অর্ধ্য সর্বত্রয়,
কারিয়াছ দুখীদের অন্ন্য-
ক্ষমতা লইয়া মহাশয়।
ধরবেন একদিন তিনি
আখেরাতে বিচার করবেন যিনি,
অকারণে কোর’না কারও অন্ন্যই
আপনা আত্মারে করিও বিধাতায় ভয়।
পুরনো স্মৃতি
ভালোবাসার ফুল ফুটে
গেল যে ঝড়ে,
পুরনো স্মৃতিগুলি-
জীবনে মনে পরে।
ভুলে যেতে চাই-
ফেলে আশা স্মৃতি,
ভাঙ্গা হৃদয় দিয়ে-
হয় না মিলন প্রতি।
তুমি বুঝতে পারনি প্রিয়া-
ঝড়া ফুলেও সুরভী ছরায়,
ঝড়ে যাওয়া ফুলদানী তুমি-
কেন করো রূপেরী বড়াই।
ভালোবাসার ঝড়া ফুলেরী-
গাঁথা যায় মালা,
প্রেম বলে কিছু নেই
আছে শুধু জ্বালা।
ভুলে ভুলে জীবন আমার
সাধ পুরে হলো ছাই,
আমার ভালোবাসা কাগজের ফুল-
কি করে সুরভী চাই।
সাজানো প্রেম
অন্তিম ভালোবাসা নয়ন তোমার-
হৃদয়ে রক্তিম আশার ভেলা!
অন্তর মরুভূমি নীল আসমান তোমার-
দিবানিশি লাগে তারার মেলা?
নিভু নিভু জ্বলে প্রেমের প্রদীপ-
সকল তরানী নর নারীর অন্তরে!
যৌবনে পদার্পনে কপোত কপোতী-
ফেরারী ভালবাসার পিছনে ঘোরে?
প্রেমে নামের ওই সুখ পাখিটা-
ঘোরে প্রেমিক প্রিয়ার দ্বারে দ্বারে!
খনিকের সুখি করে তাদেরই-
অন্তর পোড়ায় শুধু বারে বারে?
স্বপ্নের পৃথিবীটা প্রেমালোতে ভরা-
স্বর্গ সুখি প্রেম কখনো অশ্রু ঝরা!
প্রেমে ছলনাময়ী নারী মমতাময়ী-
স্বর্গের মালা কখনো অন্তর পোড়া?
নাগি না ললনার প্রেমে ছলনার মালা-
প্রেম এখনো পৃথিবীতে নরকের জ্বালা!
ভালোবাসা স্বর্গ নয় পৃথিবীতে-
সাজানো অভিনয় ছলনার খেলা?
সত্যের প্রতীক
অকারণে জীবন গেলেও চলে-
করবনা কুর্নিশ মিথ্যার পদোত্বলে,
তবু উদ্ধত করিয়া আপন শির-
সত্যের আমি বলিষ্ঠ বীর।
অনাহারে মরবো তবু-
মিথ্যায় হবনা বিলীন,
অর্থের কাছে মানবতা হার-
কভু সাজব না মোনাফেক লেলীন।
জগৎ ভরা আজি-
শয়তান মোনাফেকের দল,
অনাহারী অন্তরে আমি দুখী
তবু হারাব না বাহুবল।
আমি সত্যের সৈনিক
পথো চলি নির্ভীক,
মরব আমি অনাহারে
তবু সত্যেই রবো ঠিকে।
অসহায় প্রেম
তোমাকে দেবার মতো-
নেই আমার কিছু আর,
স্মৃতিটুকু মনে রেখ-
জীবনে হয়েছে যা হবার।
করেছ প্রশ্ন আমাকে-
জানি তুমি শতবার,
আশা পেয়ে তুমি খুশি নয়-
তাই আমার প্রেমেরী হলো হার।
শুধু এতটুকুই তোমাকে বলি-
জীবনটাকে কর না প্রশ্নবিদ্ধ,
ভেঙ্গে যাবে দু’টি মনের বিশ্বাস-,
অসহায় ভালোবাসা হবে অশ্রুসিক্ত।
কখন বলব না তোমাকে-
তুমি ফিড়ে চলে যাও,
ভূলে যেও তখনি তুমি আমায়
যদি নতুন স্বর্গ খুঁজে পাও।
থাকবে অভিযোগ
বরেনা অভিমান,
কেন তুমি বোঝ না-
ভালোবাসা, বিশ্বাস বিধাতার দান।
পথেই পরিচয়
পথের পরিচয়ে মন-
যারে ভেবে ছিল আপন,
ছিল সে হৃদয়হিনী
ভেঙ্গে গেল আমার মন,
কি ছিল তোমার চাওয়া-
বুঝতে পারিনি আমি,
এত কাছে এসে প্রিয়া
ভাবেনি আমায় উপহার দামী।
ক্ষণিকের ত্বরে এসে প্রিয়া-
কেন গেলে আমায় ফেলে,
পরিশেষে বুঝে নিলাম-
আমি তোমার যোগ্য নয় বলে।
কি? এমন আছে তার
যাও ছুটে বার বার
তুমি হীনা আমি একাই
দাও না কিঞ্চিৎ অধিকার।
ভুল ভালোবাসা
কাব্য লিখি গল্পত নয়-
মিছে মনের আশা,
দু’জনাতে মন বিনিময়
সেইতো ভালোবাসা।
ভালোবাসা মিছে আশা-
সাত, সাগরের ঢেউ,
ভালোবেসে কেউ শুধুই কাঁছে
সুখের বাসর গড়ে কেউ।
ভালেবাসার নিথর জ্বালা-
যায় না তারে ভোলা,
ভালোবাসা ভেঙ্গে গেলে-
নিরবে মনযে কাঁদে একেলা।
ভালোবাসার স্বপ্নো অনেক-
অনেক চাওয়া পাওয়া,
সকল চাওয়া হয় না পূরণ
মনের জন্য মনের বিরহে গান গাওয়া।
কবিতার ভাষায় আমি বলি
তুমি বুঝে নিও আমার বলা কথা।
ভালোবেসো হৃদয় দিয়ো
আমায় দিওনাগো ব্যথা।
নতুন প্রভাত
আমারি তুমি ধরেছ হাত-
জীবনের পথ খুঁজে নিতে
নকল বধু সেজে তুমি
এসেছ জীবন প্রদীপ নিভে গেল।
আমায় তোমার লাগে না ভালো-
জানি না তোমার কি যে হলো,
অন্তরে জেগেছে, নতুন আমার আলো-
তাইতো জীবন সাথী লাগে না ভালো।
তোমার মনের আঁকাশে যদি
জাগে নতুন রাঙা প্রভাত,
দূরে সরে যাব আমি নিরবে-
তোমায় দেব না কোন অপবাদ।
এখনো তোমায় ভেবে-
আমায় কেঁটে যায় রাত,
আমার ভালোবাসা তোমার মাঝে
কেন হলো যন্ত্রণারী বাঁধ।
আমায় যদি তোমার
ভালো না লাগে আর,
রাখবো না তোমায় ধরে-
হোক না আমার জীবনে যা হবার।
মিছে স্বপ্ন
স্বপ্ন দেখালে তুমি-
আমায় আপন মনে,
জানি না কতো হৃদয় ভেঙ্গেছে
সে খবর বিধাতায় জানে
জীবন পেল না খুঁজে
তোমার কাছে আশার মানে
তুমি নতুন ঘর বাধলে
জানি না কোন খানে।
মায়াবিনী তুমি ছলনাময়ী-
তোমার সাজানো প্রেম রক্তক্ষয়ী,
ছিল কি প্রয়োজন ফিড়ে আশা
কেন দিলে আমায় নকল ভালোবাসা।
মিছে কেন আমাকে স্বপ্ন দেখালে-
ছলনার প্রেমে কেন হৃদয় রাঙানো,
ভালোবাসা নাইবা দিলে তুমি
অন্তরে কেন আশায় আলো ছড়ালে।
ভালোবাসার ফুল ফোঁটার আগেই
তুমি আপন হাতে কলিটায় ঝড়ালে,
পাশে না এসেছি বিনা পরশে তুমি
উঁকি মেরে রয়ে গেলে আড়ালে।
অশ্র“ ঝড়ে
ভালোবাসার রং তুলিতে
যায় না আঁকা ছবি
মন যে তারে ভালোবাসে
আমি তাই হয়েছি কবি,
প্রথম দেখায় তারে নিয়ে-
আমি কতো কি যে ভাবি,
তুমি আমায় ভাসবে ভাল-
সেইত আমার দাবী।
তোমায় নিয়ে স্বপ্নে দেখী
মনে ভালোবাসার ঝড়,
মন যে তোমাই ভালোবাসে,
আমায় কভু করনাকে পর।
আমি তোমার প্রেমে প্রিয়-
আজকে শুধু হইয়াছি পাগল
জগতে নকল প্রেমিক অনেক আছে
কেউ চায় না সাজতে প্রেমিক আসল।
ভালোবেসে কেউ ঘর বাধে
জীবনে কারও ভাঙ্গে মন,
ভাঙ্গাগড়া প্রেমের খেলা-
আমি অশ্রু ঝড়ায় সারাক্ষণ।
কথা হবে
বিষাদের অনলে জ্বলি-
কি? করে বলি,
মায়াবিনির মায়া জ্বলে
জীবনে হলো বলী।
মন নাই আসবে তুমি
সুখের স্বপ্ন দেখী আমি,
যন্ত্রণায় সে ভরাল জীবন
কি? করে মাঝ পথে থামি।
আমি পারবোনা তোমার-
সাজানো মায়াজাল ছিন্ন কর,
তুমি ভুলে যেতে পার-
গড়বে জীবন ভিন্ন স্বরে।
তুমি কেন কর ছলনা-
সে কথা আমায় বল না,
ভুলে যাও অভিনয়-
সত্যের পথে চলনা।
প্রিয়া তুমি দিওনা জ্বালা-
দেব তোমার গলে প্রেমের মালা,
দেখা হবে একসাথে-
কথা হবে দু’জনাতে।
মন কাঁদে অকারণ
মায়াবিনী তরে মোর-
অন্তরে স্মৃতি চারন,
কেন জানি তারি ত্বরে-
মন কাঁদে অকারণ।
নয় সে আপন জন-
তবু ভাবি সারাক্ষণ,
মায়াবিনী মন করেছে হরন-
আপন ভেঙ্গে অন্তর করেছে বরণ।
মায়াবিনী আমায় খুঁজবে না-
কভু হৃদয়ে কথা বুঝবেনা,
আমি কেমনে বলি তারে
মন ছুটে যায় তারি দ্বারে।
বীনার স্বরে তার মধুর কথা-
মানছেন মন নিরবতা,
হলো কথা যথা তথা
ভালোবাসায় নেই বারতা।
মনে হয় তারে
দেখিনি কতো কাল,
জানি সে অন্যের প্রিয়া
ভালবাসি তারে নির্ভেজাল।
নিশি
আমি কেঁদেছি তোমার ত্বরে-
বসে একা মানবশূন্য ঘরে,
তুমি ভুলতে পার স্মৃতি
তোমার স্মৃতি আমার মনে পরে।
তুমি ভালোবেসে কতো নিশি-
আমারি তরে করেছ ভোর
আদর করেছ মিষ্টি ভাষায়-
সোহাগে ভরেছ হৃদয় মোর।
জীবনে তোমার দেওয়া জ্বালা-
বয়ে বেড়ায় আমি সারাবেলা,
অকারণে ভারগো অন্তর তুমি-
আমি অসহায় জেনে করেছ অবহেলা।
আমারী কারনে তুমি কেন অশ্রু ঝড়ালে
মন ভাঙ্গা অন্তরে কেন হাত বাড়ালে।
ভালোবাসার মানে কি জানো-
বিশ্বাসের সাথে ঈমান আনো,
তখনি খুঁজে পাবে ভালোবাসার মানে-
ভালোবাসা হয় হৃদয়ে টানে।
এলে না তুমি
সেই যে চলে গেলে
ফিরে নাহি এলে,
বুঝেছি আর হবে না দেখা
তাই জগতে আমি বড় একা।
তুমি একবার এসে ফিরে
দূরে যাব না তোমাই ছেরে,
হলে সাথী চিরতরে-
থাকবে তুমি হৃদয় জুড়ে।
স্বপ্নের প্রিয়া তুমি-
বাস্তবে আছ মনে,
আমায় মনে রাখবে না তুমি-
অবিশ্বাশ ক্ষণে ক্ষণে।
বিশ্বাস হলো চুর
প্রিয়া মোর বহু দুর
করিয়াছ তারি তরে
বধু হবে আমার ঘরে।
দেব দেব সবি দেব-
তুমি সান্তনার মহাজন,
না দিতে পারলে জগতে-
পর হয় আপন জন।
ধর্য্য ধরো হবে সবি,
তারে নিয়ে মোরা ভাবি,
উচ্চ আমান বসেও যিনি
মিটাতে পারে না সঠিক দাবী।
কর্মে খাতায় অনেক ধুলো-
তাইতো জীবন এলো মেলো।
ক্ষণিক দেখা
নববর্ষের সূচনাই
যারে দিয়েছিনু মন,
ভেবেছিল মন তারে-
সে শত জনমে চেনা,
আমার আপন জন?
কটা দিন পরে-
মন পাশে খোঁজে তারে,
নয়নে প্রিয়া আমার
সে মরিচিকা
বোঝেনি আমার মন?
বুঝিনি ক্ষণিকের ত্বরে-
এসেছিল হৃদয়ের দ্বারে,
ভিক্ষারী সেজে মন-
ঐ পাষাণীটারে,
মন খোঁজে বারে বারে?
যাবার বেলায় বলে গেল-
থাকেন ভাইয়া যাইগো চলে,
আবার যদি হয়গো দেখা
ফিরব না আর ঘরে একা,
ভেসে যাব প্রেমের জলে?
বলা হলো না
তুমি চেয়ে দেখ অমলিন
হাসো শুধু মিষ্টি,
ফলক ফিরাতে পারিনি
অজান্তেই ভালোবাসার সৃষ্টি।
প্রিয়সীর হাঁসি অতি সুন্দর
মায়াবিনী পাষাণী তার অন্তর,
ছলনায় ভাঙ্গে মন প্রতিনিশি
আপন জনে আঘাতে করে পর।
কথা যেন মায়াবিনী তার-
কন্ঠ যে তার মিষ্টি স্বর,
দৃষ্টি যেন তারা ঢল চেড়া-
ভালোবাসা তার চির অমর।
একি সাথে যাব পথো চলা-
হলো না তারে কিছু বলা,
জীবনের পথ একদিন থেমে যাবে-
বাস্তবে পাই না পাইতারে অপুতবে।
হঠাৎ ডেকে বলল আমায়
আমি চাই না কিছু চাইগো তোমায়,
আমি তোমাই ভালোবাসি
তোমার মনটা দিবে কি আমায়।
বদলেছে পৃথিবী
বদলে গেছে পৃথিবী
বদল হয়েছে সময়,
ছলনায় খুশি মানুষ জগতে-
সত্যের ক্ষণিকের পরাজয়।
ধরনে মানুষে মানুষ কাঁটে
নেই দ্বিধা সংশয়,
জগতে পশুরুপী মানুষ তারা
করে না বিন্দু বিধাতার ভয়।
সত্য পৃথিবী হতে সত্য-
কোন দিন হয় না বিলীন,
বোঝে না নর পিচাষ মানব-
মুনাফেক মোসরেক লেলিন।
জীবন্ত জীবন মারে-
ধরনে এরা কোন মানব,
তাদেরী না করিলে কুর্নিশ-
কাড়ে জীবন সাজে বিভৎস দানব।
প্রেম নিলাম
জীবন মরণের সাথী ভেবে
তোমাকে মন দিয়ে ছিলাম,
তুমি ভালোবাসি আমায়-
আমার ভালবাসা করেছ নিলাম।
আমার ভালোবাসার দিলে না-
প্রিয়ও তুমি কভু দাম,
তোমাই ভালোবেসে পাইনি কিছু
উপহার পেয়েছি বদনাম।
তুমি সুখেই আছ-
নববধু নিয়ে
কি করে মনকে বুঝাই বলো-
কি শান্তনা দিয়ে।
কি এমন ভূল ছিল
কেন বলনি আমায়,
তুমি সুখেই আছ নব পরশে-
হয়েছ পরের ঘরের জামায়।
মাঝে মাঝে আবার কেন
আমায় কর কেন ফোন,
ভুলে গেছ চিরতরে
কেন নতুন করে ভাঙ্গতে চাও মন।
মানি না বাঁধা
কোথায় আছো তুমি প্রিয়া
তাতো আছি জানি না,
ভাল বাসার কোন বাধা-
এ জীবনে আমি মানি না।
তুমি সুন্দর প্রিয়া-
সে তোমার অহংকার
তোমাকে পাই বা না পাই
আমারও আছে চাওয়ার অধিকার
জানিনা তুমি প্রিয়া
কতো মন করেছ হন,
তোমাকে পাওনা নেই যুগ্যতা
তবু ভালোবেসে আমায় কর না বরণ।
অপরূপ সুন্দর তুমি-
কি করে তোমাই চাই আমি,
তোমার দু-চোখ যে মায়াবীনি,
আমায় নয়নে তুমি বড় দামী।
তোমায় পাবনা
কল্পনা আছ তুমি
বাস্তবে পাশে নাই,
যতোই কর ঘৃণা
মন তোমাকে চায়।
স্বপ্নের প্রিয়া তুমি
তোমার ভাবনীয় আমি,
পৃথিবীর সবি ভূলে,
মোর জীবনে এসো থামি।
জানি তুমি থামবে না-
কোন বাধা মানবে না,
আত্মার আত্মীয়া হবে না
হয়তো হৃদয় তোমায় পাবে না।
স্বপ্নে প্রিয়া সেজে
তুমি জীবনে এলে,
দিলে না একটু সময়-
আমায় গেলে তুমি ফেলে।
চলে গেল প্রিয়া আমায়
জানি না তুমি কোন জমানায়
তোমারী মন যে কাঁদে
কেন তা আমার জানা নাই।
পথে পরিচয়
পথেই পরিচয় হলো-
হলো মন বিনিময়
পথি হলো শেষ ঠিকানা
ভালোবাসা হলো না মধুময়।
বুঝেছি প্রিয়া আমার-
হয়তো নির হারা পাখি,
ক্ষণিকে বাধে বাসা অন্তরে-
দূর হতে করে ডাকাডাকি।
অন্তর দিয়ে ভালোবেসে
সে হারিয়েছে আপনজন
ছলনার প্রেমে সর্বহারা
সত্যের ভালোবাসায় চায় না দিতে মন।
কেবা আপন প্রিয়ার
কেইবা প্রিয়জন,
পায় না ভেবে কিছু
কারে বা দেবে মন।
অর্থে বিনিময়ে
প্রিয়া করে দেহ দান,
হারানোর সব হারিয়ে
করে মিছে অভিমান।
কেন এলে
কোথা হতে এসেছিলে-
কেনই বা দেখা দিলে,
পলকেই অন্তর কেড়ে নিলে-
পোড়াতে অন্তর তিলে তিলে।
ফিরে এসো তুমি প্রিয়া
কখন যেও না দূরে,
যা চাওয়ার আমাকে বল
সবই দেব তবু এসো ফিরে।
তোমার চলার পথে
আছে যতো প্রয়োজন,
তোমার চরণে দিও ঠাই
রক্তের বিনিময়ে করব সবি আয়োজন।
ফিরে এসো তুমি প্রিয়া-
থেক না কভু দূরে,
তুমিহীনা শূন্য হৃদয়-
বাঁচব না যাব মরে।
হঠাৎ এসো অন্তরে
ফুটালে ভালোবাসার ফুল,
তুমি চাঁদনী আমি বামন-
বুঝিনি তোমায় ভালোবাসা ভুল।
ক’দিনের পরিচয়
এসেছিল প্রিয়া জীবনে
ক্ষণিকের ভালোবাসা নিয়ে
চলে গেল প্রিয়া মোর
বুক ভরা জ্বালা দিয়ে।
ক’দিনের পরিচয়ে তারে
অন্তর ভাবেনি তারে পর,
নতুন স্বপ্ন দেখেছিল জীবন
তারে নিয়ে বাঁধবে আপন ঘর।
যাবার বেলায় প্রিয়া আমার
দেখতে দিল না তার মায়া ভরা মুখ।,
সারাক্ষণ দেখি তার ছবি
নয়ন জ্বলে কেঁদে ভাসায় বুক।
প্রিয় আমায় ফেলে গেল-
জানি যে ফিরবে না আর,
পথও চেয়ে রইবো আমি তার
সে যদি আসে ফিরে একবার।
আমার অনেক বলার ছিল-
তা হলো না তাকে বলা,
লাভ কি বেঁচে তারে বিনা-
জীবনের শুধু একপথে চলা।
ওড়না
অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রিয়া-
বৃথা ঝড়ায় বারিধারা,
প্রেমানলে পুড়িয়া অন্তর-
উদ্বয়নে দ্বিবানিশি বক্ষে তাঁরা।
আলোর দিশারী আমি ভবে-
কেউ চিনলনা আমায় তবে,
না বুঝিয়া সপিয়া প্রাণ
ভরা যৌবন লুটিল সবে।
করিয়া মিছে প্রেমের ছলনা-
লুটিল আমায় শয়তানের দল,
অসহায় নারী কাঁদি নিবৃতে
অঙ্গহানিতে ঝড়ায় আঁখি জল।
সুন্দর হইলে নাবীর বদন খানী
চলতি পথে ওড়না করে টানাটানি,
পলকে পারিলে পলক পুরুষে
উপহারে নারীর মিষ্টি হাসি খানী।
আনমনে চলে পুরুষ-
দেখিবে না কোন ডাহুকিনি,
ডানে বামে তাকাইলে পুরুষ
অচেনা নারীও ভাবে আপনজনী।
হারানো স্মৃতি
অনেক কেঁদেছি আমি
চাই আরও কাঁদতে,
হিংসার, অনলে জ্বলি
চাই নতুন ঘর বাঁধতে।
তুমি পারো যদি-
আমি কেন পারব না,
তুমি হেরে যেতে পারো
আমি আর হারব না।
নতুন গড়েছো তুমি
জীবনের মাঝপথে,
পরিণয়ে তুমি গড়েছো বাসর-
আমার জীবন ভরছে আঘাতে।
কাঁদাতে কাঁদতে হয়-
ক্ষণিকের শান্তি পেয়েছো তুমি,
আমি জ্বলিনি একা
হয়নি তোমার শুভ অন্তর্মমী।
হারানো স্মৃতি
তুমি কি সেই মেয়ে-
অবাক চোখে ছিলে চেয়ে,
একাকি পাশে বসে,
বলেছিলে কথা মিষ্টি হেসে।
তুমি কি সেই ছেলে
ভালোবাসি তোমাই বলেছিলে,
ভুলে গেলে সবকিছু-
ভাসালে বুক আঁখি জলে।
তুমি কি সেই মেয়ে
ভালোবেসে আমায় কাছে টানতে,
চলে গেলে আমায় ছেড়ে
আমার মনেরি অজান্তে।
তুমি সেই ছেলে
ছলোনাতে হৃদয় নিলে,
ফেলে গেলে স্মৃতি গুলো-
ভাঙ্গলে অন্তর মারলে তিলে তিলে।
আলো আঁধার
আঁধারে জ্বলে প্রদীপ
উড়ার করিয়া প্রাণ,
তবু প্রদ্বীপের নিচে অন্ধকার
সেখানেই প্রদ্বীপের অভিমান।
জীবন প্রদ্বীপের আলো-
দেখা যায় না তারে,
করিলে সৎ কর্ম
তারে জগৎ ভুলিতে না পারে।
প্রভাতে উদয়য়ে সূর্য্য
আঁধার করে অভিমান,
আমি পরাজিত আলোতে
আমি হয়ে যাই ন্বিঃপ্রাণ।
আলোর পরশে আঁধারের রাণী
আঁধারের না ফেলিও কিরণ খালি,
আলোর পরশায় আঁধার বিলীন
জীবনের আলো মরিচিকার ফুলদানী।
সূর্যের আলো তেজময় লাগে না ভালো
চাঁদের আলো মধুময় বাসে ভালো,
মনের যদি যায় আলো নিভে
চাঁদ সূর্যের কি আর কাজে দেবে।
No comments:
Post a Comment